প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য
খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি খুলনা বিভাগ তথা দেশের দক্ষিণ—পশ্চিম অঞ্চলই নয় বরং সমগ্র দেশে এমনকি বহির্বিশে^ও আলোকচ্ছটা বিকিরণ করে আসছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি। ঐতিহ্যবাহী এ দ্বীনি মারকাজটি একদিনে গড়ে ওঠেনি। বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি কোন ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে ছিলেন খুলনা শহরের কতিপয় ধর্মপ্রাণ, শিক্ষানুরাগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রামাণ্য তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মাদরাসার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ খুলনা শহরের কতিপয় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ যুগের চাহিদা অনুযায়ী মাদরাসার শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৫২ সালের ২ এপ্রিল টুটপাড়া বড় মসজিদে একটি মাদরাসা স্থাপন করেন। তাঁরা এ মাদরাসাটি হেফ্্জখানা দিয়ে শুরু করেন। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার এক বছর পর সর্বপ্রথম স্থানান্তরিত হয় টুটপাড়া মডেল মক্তবে। সেখান থেকে আনুমানিক একমাস পর বিভিন্ন কারণে মাদরাসাটি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় সাময়িকভাবে হাজী মহসিন রোডস্থ মরহুম মাওলানা এনাতুল্লাহ (রহঃ) এর বাড়িতে মাদরাসাটি দ্বিতীয় বারের মত স্থানান্তরিত হয়। অতঃপর খুলনা শহরের শিক্ষানুরাগী গণ্যমান্য মুসলিম জনসাধারণের সমন্বয়ে খুলনা টাউন জামে মসজিদে এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাদরাসাটি তৃতীয়বারের মত খুলনা টাউন জামে মসজিদে স্থানান্তরিত করে কলকাতা আলিয়া মাদরাসার নেসাবে একটি পূর্ণাঙ্গ আলিয়া মাদরাসা হিসেবে রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে মাদরাসার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য এতদাঞ্চলের বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ও বুজুর্গ আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল লতিফ সাহেব (রহঃ) পীর সাহেব আমতলীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি এ আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৫২ সালের শেষের দিকে মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগদান করেন। অতঃপর নানাবিধ সমস্যার কারণে মাদরাসাটি আবারো স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ায় মহান আল্লাহর রহমতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব আজিজ হাসান (সি এস পি) এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় টাউন জামে মসজিদ থেকে খান জাহান আলী রোডের উত্তর পাশে^র্ ৫.৩৯ একর জমির উপর সর্বশেষ স্থানান্তরিত হয়ে অদ্যাবধি দ্বীনের আলো ছড়িয়ে আসছে অবিরাম গতিতে। পরিচালনা পরিষদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সুপারিনটেনডেন্ট আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল লতিফ (রহঃ) পীর সাহেব আমতলী এঁর দক্ষ পরিচালনায় মাদরাসাটি মাত্র ০৪ (চার) বছরে দাখিল মাদরাসায় উন্নীত হয়। পীর সাহেব হুজুরের বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ১৯৫৯ সালের প্রথম দিকে মাদরাসার দায়িত্ব হতে অব্যহতি গ্রহণ করেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, অনেক খ্যাতনামা আলেমে দ্বীন মাদরাসার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু তাদের প্রত্যেকের কার্যকাল ছিল অতি অল্প সময়। তথাপিও মাদরাসার উন্নতিতে তেমন কোন বাধার সৃষ্টি হয়নি। ১৯৫৫ সনের ২৬ শে ফেব্রুয়ারী মাদরাসা পরিদর্শন করেন এস, ডি, আই। মাদরাসাটি ঐ বছরই দাখিল পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি লাভ করে এবং ১৯৫৬ সালে ১ম বারের মত অত্র মাদরাসার ছাত্ররা দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। মাদরাসাটি ১৯৫৯ সালে আলিম এবং ১৯৬০ সালে ফাযিল শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ১৯৬৫ সনের প্রথম দিকের কথা বর্তমান খুলনা বিভাগে তখনও কোন কামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মাদরাসা কতৃর্পক্ষ, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও ধর্মপরায়ন মুসলমানদের ঐকান্তিক ইচ্ছা খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসায় উন্নীত হোক। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে খুলনাবাসীর প্রাণের দাবি অনুযায়ী খুলনা আলিয়া মাদরাসায় কামিল শ্রেণি খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জমিদাতা
জমি দাতাদের নাম
আমরা তাঁদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি-
“চিরদিন তাঁরা রইবে অমর সুমহান দানবীর
এ জাতি জানাবে লক্ষ সালাম নোয়াইয়া লাখো শির,
এদেশ মাটির কোটি বালুকায় জানায় মাগফেরাত
সেবায় তাঁদের দূরীভূত হোক এ জাতির মুলমাত।”
ক্র. নং | জমি দাতাদের নাম | ঠিকানা | জমির পরিমাণ |
---|